‘ইতিহাসের সোনালী পাতা’ বহুল ব্যবহৃত একটি বাক্য। উড়াউড়ির দিনগুলিতে যে বইগুলি আমাদের ডানায় হাওয়া দিতো, তাতে দেখা যেতো এই বাক্যটি। মনে আগ্রহ জাগতো, ইতিহাসের সোনালী পাতা কোথায় পাওয়া যায়! দিনগুলি হারিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে বুঝে এসেছে, ইতিহাসের সোনালী পাতা নামে কোনো বই নেই। ইতিহাস হলো বিশাল সাগরে লুকিয়ে থাকা মুক্তো। প্রতিটি জাতির, প্রতিটি দেশের, প্রতিটি সভ্যতার এবং প্রতিটি শিক্ষাব্যবস্থার রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ইতিহাস। সেই সাগর সেঁচে মুক্তো তুলে মালা গাঁথা খুবই সময়সাপেক্ষ ও মেহনতের কাজ। পাঠক এক মোড়কে সব ইতিহাস পাবেন না। আবার লেখকও এক মোড়কে সব ইতিহাস লেখেন না। প্রতিটি ইতিহাস জানার জন্য পড়তে হয় ভিন্ন ভিন্ন বই। আবার কিছু ইতিহাস জানার জন্য পড়া লাগে কয়েক খণ্ডের বিশাল বই। এই স্বাভাবিক রীতির বিপরীত স্বাদ আপনি পেতে পারেন ‘ইতিহাসের পাতা’ বইটি পড়ে। আপনি বইটি খুলে বসুন, সময়ের সাথে সাথে আপনি সত্যিকার অর্থে হারিয়ে যেতে থাকবেন ইতিহাসের সোনালী পাতায়। কখনও হারাবেন মাদরাসা শিক্ষার ইতিহাসে, কখনও বা হারাবেন কোনো রাজা-বাদশার ইতিহাসে। কখনও কোনো ইতিহাস আপনাকে হাসাবে, কখনও কোনো ইতিহাস আপনাকে ভাবাবে। লেখক ইমরান রাইহান আপনাকে হাত ধরে নিয়ে যাবেন ইতিহাসের পাতায় পাতায়। দুই মলাটের ভেতর একসাথে এতোগুলো ইতিহাস বাংলা ভাষায় আর নেই। প্রতিটি ইতিহাসই ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু পড়ার সময় মনে হবে, সুনিপুণ গ্রন্থনার সুক্ষ্ম সূত্রগুলি নিবিড়ভাবে গাঁথা। পড়তে গেলে বিরক্তি আসবে না মোটেও। বৈচিত্রের স্বাদে বুঁদ হয়ে রইবেন। বইটি যখন শেষ হবে, আপনি অজান্তেই বলে উঠবেন, পুরো পৃথিবী আমার হাতের মুঠোয়। তা হলে আর দেরি কীসের? এখনই নেমে পড়ুন ইতিহাসের সাগরে।
পিবুক © ২০২০ – ২০২৩ | Developed By tukiDevs
Reviews
There are no reviews yet.